مُحَمَّدُ بْنُ سِنَانٍ حَدَّثَنَا هَمَّامٌ عَنْ قَتَادَةَ قَالَ كُنَّا عِنْدَ أَنَسٍ وَعِنْدَه“ خَبَّازٌ لَه“ فَقَالَ مَا أَكَلَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم خُبْزًا مُرَقَّقًا وَلاَ شَاةً مَسْمُوطَةً حَتّٰى لَقِيَ اللهَ.
ক্বাতাদাহ (রাঃ থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেনঃ আমরা আনাস (রাঃ)-এর কাছে ছিলাম। তাঁর সঙ্গে তাঁর বাবুর্চিও ছিল। তিনি বললেনঃ নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আল্লাহ্র সঙ্গে মিলিত হওয়ার পূর্ব পর্যন্ত পাতলা নরম রুটি এবং ভূনা বক্রীর গোশ্ত খাননি।(আধুনিক প্রকাশনী- ৪৯৮৪, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৪৮৮০)
عَلِيُّ بْنُ عَبْدِ اللهِ حَدَّثَنَا مُعَاذُ بْنُ هِشَامٍ قَالَ حَدَّثَنِي أَبِي عَنْ يُونُسَ قَالَ عَلِيٌّ هُوَ الإِسْكَافُ عَنْ قَتَادَةَ عَنْ أَنَسٍ قَالَ مَا عَلِمْتُ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم أَكَلَ عَلٰى سُكْرُجَةٍ قَطُّ وَلاَ خُبِزَ لَه“ مُرَقَّقٌ قَطُّ وَلاَ أَكَلَ عَلٰى خِوَانٍ قَطُّ قِيلَ لِقَتَادَةَ فَعَلاَمَ كَانُوا يَأْكُلُونَ قَالَ عَلٰى السُّفَرِ.
আনাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) কখনও ‘সুকুর্জা’ অর্থাৎ ছোট ছোট পাত্রে আহার করেছেন, তার জন্য কখনও নরম রুটি বানানো হয়েছে কিংবা তিনি কখনো টেবিলের উপর আহার করেছেন বলে আমি জানি না। ক্বাতাদাহকে জিজ্ঞেস করা হলো, তাহলে তাঁরা কিসের উপর আহার করতেন। তিনি বললেনঃ দস্তরখানের উপর।(আধুনিক প্রকাশনী- ৪৯৮৫, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৪৮৮১)
ابْنُ أَبِي مَرْيَمَ أَخْبَرَنَا مُحَمَّدُ بْنُ جَعْفَرٍ أَخْبَرَنِي حُمَيْدٌ أَنَّه“ سَمِعَ أَنَسًا يَقُوْلُ قَامَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم يَبْنِي بِصَفِيَّةَ فَدَعَوْتُ الْمُسْلِمِينَ إِلٰى وَلِيمَتِه„ أَمَرَ بِالأَنْطَاعِ فَبُسِطَتْ فَأُلْقِيَ عَلَيْهَا التَّمْرُ وَالأَقِطُ وَالسَّمْنُ وَقَالَ عَمْرٌو عَنْ أَنَسٍ بَنٰى بِهَا النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم ثُمَّ صَنَعَ حَيْسًا فِي نِطَعٍ.
আনাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেনঃ নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) সফীয়্যাহ্র সঙ্গে বাসর করার জন্য অবস্থান করলেন। আমি তাঁর ওলীমার জন্য মুসলিমদের দাওয়াত করলাম। তাঁর নির্দেশে দস্তরখান বিছানো হলো। তারপর তার উপর খেজুর, পনির ও ঘি ঢালা হলো। ‘আমর আনাস (রাঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তাঁর সঙ্গে বাসর করলেন এবং চামড়ার দস্তরখানে ‘হায়স’ (ঘি, খেজুর ইত্যাদি মিশিয়ে বানানো খাবার) তৈরী করলেন।(আধুনিক প্রকাশনী- ৪৯৮৬, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৪৮৮২)
مُحَمَّدٌ أَخْبَرَنَا أَبُو مُعَاوِيَةَ حَدَّثَنَا هِشَامٌ عَنْ أَبِيهِ وَعَنْ وَهْبِ بْنِ كَيْسَانَ قَالَ كَانَ أَهْلُ الشَّأْمِ يُعَيِّرُونَ ابْنَ الزُّبَيْرِ يَقُوْلُونَ يَا ابْنَ ذَاتِ النِّطَاقَيْنِ فَقَالَتْ لَه“ أَسْمَاءُ يَا بُنَيَّ إِنَّهُمْ يُعَيِّرُونَكَ بِالنِّطَاقَيْنِ هَلْ تَدْرِي مَا كَانَ النِّطَاقَانِ إِنَّمَا كَانَ نِطَاقِي شَقَقْتُه“ نِصْفَيْنِ فَأَوْكَيْتُ قِرْبَةَ رَسُوْلِ اللهِ صلى الله عليه وسلم بِأَحَدِهِمَا وَجَعَلْتُ فِي سُفْرَتِه„ آخَرَ قَالَ فَكَانَ أَهْلُ الشَّأْمِ إِذَا عَيَّرُوه“ بِالنِّطَاقَيْنِ يَقُوْلُ إِيهًا وَالإِلَهِ تِلْكَ شَكَاةٌ ظَاهِرٌ عَنْكَ عَارُهَا.
ওয়াহ্ব ইবনু কায়সান (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, সিরিয়াবাসীরা ইবনু যুবায়রকে ইবনু যাতান নিতাকায়ন’ বলে লজ্জা দিত। আসমা (রাঃ) তাকে বললেনঃ হে আমার প্রিয় পুত্র! তারা তোমাকে ‘নিতাকায়ন’ বলে লজ্জা দিয়েছে? তুমি কি ‘নিতাকায়’ (দু’ কোমরবন্দ) সমন্ধে কিছু জান? আসলে তা ছিল আমারই কোমরবন্দ যা দু’ভাগ করে আমি এক অংশ দিয়ে (হিজরাতের সময়) রসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর খাবারের থলি মুখ বেঁধে দিয়েছিলাম। আর অপর অংশ দস্তরখান বানিয়ে দিয়েছিলাম। এরপর থেকে সিরিয়া বাসীরা যখনই তাঁকে ‘নিতাকায়ন’ বলে লজ্জা দিতে চাইত, তিনি বলতেনঃ তোমরা সত্যই বলছ। আল্লাহ্র শপথ! এটি এমন এক অভিযোগ যা তোমা থেকে লজ্জা আরো দূর করে দেয়।(আধুনিক প্রকাশনী- ৪৯৮৭, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৪৮৮৩)
أَبُو النُّعْمَانِ حَدَّثَنَا أَبُو عَوَانَةَ عَنْ أَبِي بِشْرٍ عَنْ سَعِيدِ بْنِ جُبَيْرٍ عَنْ ابْنِ عَبَّاسٍ أَنَّ أُمَّ حُفَيْدٍ بِنْتَ الْحَارِثِ بْنِ حَزْنٍ خَالَةَ ابْنِ عَبَّاسٍ أَهْدَتْ إِلَى النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم سَمْنًا وَأَقِطًا وَأَضُبًّا فَدَعَا بِهِنَّ فَأُكِلْنَ عَلٰى مَائِدَتِه„ وَتَرَكَهُنَّ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم كَالْمُسْتَقْذِرِ لَهُنَّ وَلَوْ كُنَّ حَرَامًا مَا أُكِلْنَ عَلٰى مَائِدَةِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم وَلاَ أَمَرَ بِأَكْلِهِنَّ.
ইবনু ‘আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তাঁর খালা হাফীদ বিন্ত হারিস ইবনু হায্ন (রাঃ) নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) -কে ঘি, পনির এবং যব্ব হাদিয়া দিলেন। তিনি এগুলো তাঁর কাছে আনতে বললেন। তারপর এগুলো তার দস্তরখানে খাওয়া হলো। তিনি অপছন্দনীয় মনে করে যব্বগুলো খেলেন না। এগুলো হারাম হলে নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর দস্তরখানে তা খাওয়া হতো না। আর তিনি এগুলো খাওয়ার অনুমতিও দিতেন না।(আধুনিক প্রকাশনী- ৪৯৮৮, ইসলামিক ফাউন্ডেশন- ৪৮৮৪)