حَدَّثَنِيْ مُحَمَّدُ بْنُ كَثِيْرٍ أَخْبَرَنَا سُفْيَانُ عَنْ إِسْمَاعِيْلَ بْنِ أَبِيْ خَالِدٍ عَنْ قَيْسِ بْنِ أَبِيْ حَازِمٍ عَنْ عَبْدِ اللهِ بْنِ مَسْعُوْدٍ قَالَ مَا زِلْنَا أَعِزَّةً مُنْذُ أَسْلَمَ عُمَ
আবদুল্লাহ ইব্নু মাসউদ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, ‘উমার (রাঃ) যেদিন থেকে ইসলাম গ্রহন করলেন ঐ দিন হতে আমরা সর্বদা সম্মানের আসনে অধিষ্ঠিত আছি।
(আধুনিক প্রকাশনীঃ ৩৫৭৬, ইসলামী ফাউন্ডেশনঃ ৩৫৮১)
حَدَّثَنِيْ يَحْيَى بْنُ سُلَيْمَانَ قَالَ حَدَّثَنِيْ ابْنُ وَهْبٍ قَالَ حَدَّثَنِيْ عُمَرُ بْنُ مُحَمَّدٍ قَالَ فَأَخْبَرَنِيْ جَدِّيْ زَيْدُ بْنُ عَبْدِ اللهِ بْنِ عُمَرَ عَنْ أَبِيْهِ قَالَ بَيْنَمَا هُوَ فِي الدَّارِ خَائِفًا إِذْ جَاءَهُ الْعَاصِ بْنُ وَائِلٍ السَّهْمِيُّ أَبُوْ عَمْرٍو عَلَيْهِ حُلَّةُ حِبَرَةٍ وَقَمِيْصٌ مَكْفُوفٌ بِحَرِيْرٍ وَهُوَ مِنْ بَنِيْ سَهْمٍ وَهُمْ حُلَفَاؤُنَا فِي الْجَاهِلِيَّةِ فَقَالَ لَهُ مَا بَالُكَ قَالَ زَعَمَ قَوْمُكَ أَنَّهُمْ سَيَقْتُلُونِيْ إِنْ أَسْلَمْتُ قَالَ لَا سَبِيْلَ إِلَيْكَ بَعْدَ أَنْ قَالَهَا أَمِنْتُ فَخَرَجَ الْعَاصِ فَلَقِيَ النَّاسَ قَدْ سَالَ بِهِمْ الْوَادِيْ فَقَالَ أَيْنَ تُرِيْدُوْنَ فَقَالُوْا نُرِيْدُ هَذَا ابْنَ الْخَطَّابِ الَّذِيْ صَبَا قَالَ لَا سَبِيْلَ إِلَيْهِ فَكَرَّ النَّاسُ
ইব্নু ‘উমার (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, তাঁর পিতা ‘উমার (রাঃ) একদিন নিজ গৃহে ভীত অবস্থায় অবস্থান করছিলেন। তখন আবূ ‘আমর ‘আস ইব্নু ওয়াইল সাহমী তাঁর নিকট এলেন। তার গায়ে ছিল ধারিদার চাদর ও রেশমী জরির জামা। তিনি বানু সাহম গোত্রের লোক ছিলেন। জাহিলী যুগে তারা আমাদের হালীফ (বিপদকালে সাহায্যের চুক্তি যাদের সাথে করা হয়) ছিল। ‘আস ‘উমার (রাঃ) - কে জিজ্ঞের করলেন আপনার অবস্থা কেমন? ‘উমার (রাঃ) উত্তর দিলেন ইসলাম গ্রহন করার কারণে তোমার গোত্রের লোকজন অচিরেই আমাকে হত্যা করবে। তা শুনে ‘আস (রাঃ) বললেন, তোমার কোন কিছু করার শক্তি ক্ষমতা তাদের নেই। তার কথা শুনে ‘উমর (রাঃ) বললেন, তোমার কথা শুনে আমি নিঃশঙ্ক হলাম। ‘আস বেরিয়ে পড়লেন এবং দেখতে পেলেন, মক্কা ভূমি লোকে ভরপুর। তিনি তাদেরকে বললেন, তোমরা কোথায় যাচ্ছ? তারা বলল, আমরা ‘উমার ইব্নুল খাত্তাবের নিকট যাচ্ছি, সে নিজ ধর্ম ত্যাগ করতঃ বিধর্মী হয়ে গেছে। ‘আস বললেন তার নিকট যাওয়ার, তার কোন কিছু করার ক্ষমতা তোমাদের নেই। এতে লোকজন ফিরে গেল।
(আধুনিক প্রকাশনীঃ ৩৫৭৭, ইসলামী ফাউন্ডেশনঃ ৩৫৮২)
حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ عَبْدِ اللهِ حَدَّثَنَا سُفْيَانُ قَالَ عَمْرُوْ بْنُ دِيْنَارٍ سَمِعْتُهُ قَالَ قَالَ عَبْدُ اللهِ بْنُ عُمَرَ رَضِيَ اللهُ عَنْهُمَا لَمَّا أَسْلَمَ عُمَرُ اجْتَمَعَ النَّاسُ عِنْدَ دَارِهِ وَقَالُوْا صَبَا عُمَرُ وَأَنَا غُلَامٌ فَوْقَ ظَهْرِ بَيْتِيْ فَجَاءَ رَجُلٌ عَلَيْهِ قَبَاءٌ مِنْ دِيْبَاجٍ فَقَالَ قَدْ صَبَا عُمَرُ فَمَا ذَاكَ فَأَنَا لَهُ جَارٌ قَالَ فَرَأَيْتُ النَّاسَ تَصَدَّعُوْا عَنْهُ فَقُلْتُ مَنْ هَذَا قَالُوْا الْعَاصِ بْنُ وَائِلٍ
আবদুল্লাহ ইব্নু ‘উমার (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
আবদুল্লাহ ইব্নু ‘উমার (রাঃ) বলেন, যখন ‘উমার (রাঃ) ইসলাম গ্রহন করলেন, তখন লোকেরা তাঁর গৃহের কাছে জড় হল এবং বলতে লাগল, ‘উমার স্বধর্ম ত্যাগ করেছে। আমি তখন ছোট ছেলে। আমাদের ঘরের ছাদে দাঁড়িয়ে এ দৃশ্য দেখছিলাম। তখন একজন লোক এসে বলল, তার গায়ে রেশমী জুববা ছিল, ‘উমার স্বধর্ম ত্যাগ করেছে, কিন্তু এ সমাবেশ কেন? আমি তাকে আশ্রয় দিচ্ছি। ইব্নু ‘উমার (রাঃ) বলেন, তখন আমি দেখলাম, লোকজন চারিদিকে ছত্রভঙ্গ হয়ে গেল। তখন আমি জিজ্ঞেস করলাম, এ লোকটি কে? লোকেরা বলল, ‘আস ইব্নু ওয়াইল।
(আধুনিক প্রকাশনীঃ ৩৫৭৮, ইসলামী ফাউন্ডেশনঃ ৩৫৮৩)
حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ سُلَيْمَانَ قَالَ حَدَّثَنِيْ ابْنُ وَهْبٍ قَالَ حَدَّثَنِيْ عُمَرُ أَنَّ سَالِمًا حَدَّثَهُ عَنْ عَبْدِ اللهِ بْنِ عُمَرَ قَالَ مَا سَمِعْتُ عُمَرَ لِشَيْءٍ قَطُّ يَقُوْلُ إِنِّيْ لَاظُنُّهُ كَذَا إِلَّا كَانَ كَمَا يَظُنُّ بَيْنَمَا عُمَرُ جَالِسٌ إِذْ مَرَّ بِهِ رَجُلٌ جَمِيْلٌ فَقَالَ لَقَدْ أَخْطَأَ ظَنِّيْ أَوْ إِنَّ هَذَا عَلَى دِيْنِهِ فِي الْجَاهِلِيَّةِ أَوْ لَقَدْ كَانَ كَاهِنَهُمْ عَلَيَّ الرَّجُلَ فَدُعِيَ لَهُ فَقَالَ لَهُ ذَلِكَ فَقَالَ مَا رَأَيْتُ كَالْيَوْمِ اسْتُقْبِلَ بِهِ رَجُلٌ مُسْلِمٌ قَالَ فَإِنِّيْ أَعْزِمُ عَلَيْكَ إِلَّا مَا أَخْبَرْتَنِيْ قَالَ كُنْتُ كَاهِنَهُمْ فِي الْجَاهِلِيَّةِ قَالَ فَمَا أَعْجَبُ مَا جَاءَتْكَ بِهِ جِنِّيَّتُكَ قَالَ بَيْنَمَا أَنَا يَوْمًا فِي السُّوقِ جَاءَتْنِيْ أَعْرِفُ فِيْهَا الْفَزَعَ فَقَالَتْ أَلَمْ تَرَ الْجِنَّ وَإِبْلَاسَهَا وَيَأْسَهَا مِنْ بَعْدِ إِنْكَاسِهَا وَلُحُوقَهَا بِالْقِلَاصِ وَأَحْلَاسِهَا قَالَ عُمَرُ صَدَقَ بَيْنَمَا أَنَا نَائِمٌ عِنْدَ آلِهَتِهِمْ إِذْ جَاءَ رَجُلٌ بِعِجْلٍ فَذَبَحَهُ فَصَرَخَ بِهِ صَارِخٌ لَمْ أَسْمَعْ صَارِخًا قَطُّ أَشَدَّ صَوْتًا مِنْهُ يَقُوْلُ يَا جَلِيْحْ أَمْرٌ نَجِيْحْ رَجُلٌ فَصِيْحْ يَقُوْلُ لَا إِلَهَ إِلَّا اللهُ فَوَثَبَ الْقَوْمُ قُلْتُ لَا أَبْرَحُ حَتَّى أَعْلَمَ مَا وَرَاءَ هَذَا ثُمَّ نَادَى يَا جَلِيْحْ أَمْرٌ نَجِيْحْ رَجُلٌ فَصِيْحْ يَقُوْلُ لَا إِلَهَ إِلَّا اللهُ فَقُمْتُ فَمَا نَشِبْنَا أَنْ قِيْلَ هَذَا نَبِيٌّ
আবদুল্লাহ ইব্নু ‘উমার (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আমি যখনই ‘উমার (রাঃ) - কে কোন ব্যাপারে এ কথা বলতে শুনেছি যে, আমার মনে হয় ব্যাপারটি এমন হবে, তবে তার ধারণা মত ব্যাপারটি সংঘটিত হয়েছে। একবার ‘উমার (রাঃ) উপবিষ্ট ছিলেন, এমন সময় এক সুদর্শন লোক তার পাশ দিয়ে যাচ্ছিল। ‘উমার (রাঃ) বললেন, আমার ধারণা ভুলও হতে পারে তবে আমার মনে হয় লোকটি জাহেলী ধর্মাবলম্বী কিংবা ভবিষ্যৎ গণনাকারীও হতে পারে। লোকটিকে আমার কাছে নিয়ে এস। তাকে তাঁর কাছে ডেকে আনা হল। ‘উমার (রাঃ) তার ধারণার কথা তাকে শুনালেন। তখন সে বলল, ইতিপূর্বে আমি কোন মুসলিম ব্যক্তিকে এরূপ কথা বলতে দেখিনি। ‘উমার (রাঃ) বললেন, আমি তোমাকে কসম দিয়ে জিজ্ঞেস করছি, তুমি আমাকে তোমার বিষয়টি খুলে বল। সে বলল, জাহিলী যুগে আমি তাদের ভবিষ্যৎ গণনাকারী ছিলাম। ‘উমার (রাঃ) বললেন, জ্বিনেরা তোমাকে যে সব কথাবার্তা বলেছে, তন্মধ্যে কোন কথাটি তোমার কাছে সবচেয়ে বিস্ময়কর ছিল। সে বলল, আমি একদিন বাজারে ছিলাম। তখন একটি মহিলা জ্বিন আমার নিকট আসল। আমি তাকে ভীত-সন্ত্রস্ত দেখতে পেলাম। তখন সে বলল, তুমি কি জ্বিন জাতির অবস্থা দেখছনা, তারা কেমন দুর্বল হয়ে পড়ছে? তাদের মধ্যে হতাশার চিহ্ণ দেখা যাচ্ছে। তারা ক্রমশঃ উটওয়ালাদের এবং চাদর জুব্বা পরিধানকারীদের অনুগত হয়ে পড়ছে। ‘উমার (রাঃ) বললেন, সে সত্য কথা বলেছে। আমি একদিন তাদের দেবতাদের কাছে ঘুমিয়ে ছিলাম। তখন এক লোক একটি গরুর বাছুর নিয়ে হাজির হল এবং সেটা যবেহ করে দিল। ঐ সময় এক লোক এমন বিকট চিৎকার করে উঠল, যা আমি আর কখনো শুনিনি। সে চিৎকার করে বলছিল, হে জলীহ্! একটি সাধারণ কল্যাণময় ব্যাপার শীঘ্রই প্রকাশ লাভ করবে। তা হল- একজন শুদ্ধভাষী লোক বলবেন; لَا إِلَهَ إِلَّا اللهُ (শুনে) লোকজন ছুটাছুটি করে পলায়ন করল। আমি বললাম, এ ঘোষণার রহস্য অবশ্যই বের করব। তারপর আবার ঘোষণা দেয়া হল। হে জলীহ্! একটি সাধারণ ও কল্যাণময় ব্যাপার অতি শীঘ্র প্রকাশ পাবে। তাহল একজন বাগ্মী ব্যক্তি لَا إِلَهَ إِلَّا اللهُ এর প্রকাশ্যে ঘোষণা দিবে। তারপর আমি উঠে দাঁড়ালাম। এর কিছুদিন পরেই বলা হল যে, ইনিই নবী।
(আধুনিক প্রকাশনীঃ ৩৫৭৯, ইসলামী ফাউন্ডেশনঃ ৩৫৮৪)
حَدَّثَنِيْ مُحَمَّدُ بْنُ الْمُثَنَّى حَدَّثَنَا يَحْيَى حَدَّثَنَا إِسْمَاعِيْلُ حَدَّثَنَا قَيْسٌ قَالَ سَمِعْتُ سَعِيْدَ بْنَ زَيْدٍ يَقُوْلُ لِلْقَوْمِ لَوْ رَأَيْتُنِيْ مُوْثِقِيْ عُمَرُ عَلَى الْإِسْلَامِ أَنَا وَأُخْتُهُ وَمَا أَسْلَمَ وَلَوْ أَنَّ أُحُدًا انْقَضَّ لِمَا صَنَعْتُمْ بِعُثْمَانَ لَكَانَ مَحْقُوقًا أَنْ يَنْقَضَّ
কাইস (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ
কাইস (রহঃ) বলেন, আমি সা’ঈদ ইব্নু যায়দ (রাঃ) - কে তাঁর গোত্রকে লক্ষ্য করে একথা বলতে শুনেছি যে, আমি দেখেছি ‘উমার (রাঃ) আমাকে এবং তার বোন ফাতিমাকে ইসলাম গ্রহন করার কারণে বেঁধে রেখেছেন। তখন তিনি ইসলাম গ্রহন করেননি। তোমরা ‘উসমান (রাঃ) - এর সাথে যে অসদাচারণ করেছ তার কারণে যদি উহুদ পাহাড় বিদীর্ণ হয় তবে তা হওয়াটাই স্বাভাবিক।
(আধুনিক প্রকাশনীঃ ৩৫৮০, ইসলামী ফাউন্ডেশনঃ ৩৫৮৫)