حَدَّثَنَا مُسَدَّدٌ حَدَّثَنَا يَحْيَى حَدَّثَنَا هِشَامٌ قَالَ حَدَّثَنِيْ أَبِيْ عَنْ عَائِشَةَ رَضِيَ اللهُ عَنْهَا قَالَتْ كَانَ يَوْمُ عَاشُوْرَاءَ يَوْمًا تَصُومُهُ قُرَيْشٌ فِي الْجَاهِلِيَّةِ وَكَانَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم يَصُومُهُ فَلَمَّا قَدِمَ الْمَدِيْنَةَ صَامَهُ وَأَمَرَ بِصِيَامِهِ فَلَمَّا نَزَلَ رَمَضَانُ كَانَ مَنْ شَاءَ صَامَهُ وَمَنْ شَاءَ لَا يَصُومُهُ
আয়িশা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, জাহিলী যুগে আশুরার দিন কুরাইশগণ ও নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) সাওম পালন করতেন। যখন হিজরত করে মদীনায় আগমন করলেন, তখন তিনি নিজেও আশুরার সাওম পালন করতেন এবং অন্যকেও তা পালনের নির্দেশ দিতেন। যখন রমাযানের সাওম ফরয করা হল তখন যার ইচ্ছা (আশুরা) সওম করতেন আর যার ইচ্ছা করতেন না।
(আধুনিক প্রকাশনীঃ ৩৫৪৬, ইসলামী ফাউন্ডেশনঃ ৩৫৫১)
حَدَّثَنَا مُسْلِمٌ حَدَّثَنَا وُهَيْبٌ حَدَّثَنَا ابْنُ طَاوُسٍ عَنْ أَبِيْهِ عَنْ ابْنِ عَبَّاسٍ رَضِيَ اللهُ عَنْهُمَا قَالَ كَانُوْا يَرَوْنَ أَنَّ الْعُمْرَةَ فِيْ أَشْهُرِ الْحَجِّ مِنْ الْفُجُوْرِ فِي الأَرْضِ وَكَانُوْا يُسَمُّوْنَ الْمُحَرَّمَ صَفَرًا وَيَقُوْلُوْنَ إِذَا بَرَا الدَّبَرْ وَعَفَا الأَثَرْ حَلَّتْ الْعُمْرَةُ لِمَنْ اعْتَمَرْ قَالَ فَقَدِمَ رَسُوْلُ اللهِ صلى الله عليه وسلم وَأَصْحَابُهُ رَابِعَةً مُهِلِّيْنَ بِالْحَجِّ وَأَمَرَهُمْ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم أَنْ يَجْعَلُوْهَا عُمْرَةً قَالُوْا يَا رَسُوْلَ اللهِ أَيُّ الْحِلِّ قَالَ الْحِلُّ كُلُّهُ
ইব্নু ‘আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, হাজ্জের মাসগুলোতে ‘উমরাহ পালন করাকে কুরাইশগণ পাপ কাজ বলে মনে করত। তারা মুহাররম মাসের নামকে পরিবর্তন করে সফর মাস নাম দিত এবং বলত, (উটের) যখম যখন শুকিয়ে যাবে এবং পায়ের চিহ্ন মুছে যাবে তখন ‘উমরাহ পালন করা হালাল হবে যারা পালন করতে চায়। রসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) ও তাঁর সঙ্গী সাথীগণ যিলহাজ্জ মাসের চার তারিখে হাজ্জের তালবিয়াহ পড়তে পড়তে মক্কায় হাযির হলেন। রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তারঁ সঙ্গী-সাথীদেরকে বললেন, তোমরা ‘উমরায় পরিণত করে নেও। সাহাবীগণ জিজ্ঞেস করলেন, হে আল্লাহ্র রসূল! আমাদের জন্য কোন্ কোন্ বিষয় হালাল হবে? তিনি বললেন, সকল বিষয় হালাল হয়ে যাবে।
(আধুনিক প্রকাশনীঃ ৩৫৪৭, ইসলামী ফাউন্ডেশনঃ ৩৫৫২)
حَدَّثَنَا عَلِيُّ بْنُ عَبْدِ اللهِ حَدَّثَنَا سُفْيَانُ قَالَ كَانَ عَمْرٌو يَقُوْلُ حَدَّثَنَا سَعِيْدُ بْنُ الْمُسَيَّبِ عَنْ أَبِيْهِ عَنْ جَدِّهِ قَالَ جَاءَ سَيْلٌ فِي الْجَاهِلِيَّةِ فَكَسَا مَا بَيْنَ الْجَبَلَيْنِ قَالَ سُفْيَانُ وَيَقُوْلُ إِنَّ هَذَا لَحَدِيْثٌ لَهُ شَأْنٌ
সা‘ঈদ ইব্নু মুসাইয়্যাব (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ
সা‘ঈদ ইব্নু মুসাইয়্যাব (রহঃ) তাঁর পিতার মাধ্যমে দাদা হতে বর্ণনা করেন যে, জাহিলীয়্যাতের যুগে একটি বন্যা হয়েছিল। যাতে মক্কায় দু’টি পাহাড়ের মধ্যস্থল সম্পূর্ন প্লাবিত হয়েছিল। সুফ্ইয়ান (রহঃ) বলেন, ‘আমর ইব্নু দীনার বলতেন, এ হাদীসটির একটি দীর্ঘ পটভূমি আছে।
(আধুনিক প্রকাশনীঃ ৩৫৪৮, ইসলামী ফাউন্ডেশনঃ ৩৫৫৩)
حَدَّثَنَا أَبُو النُّعْمَانِ حَدَّثَنَا أَبُوْ عَوَانَةَ عَنْ بَيَانٍ أَبِيْ بِشْرٍ عَنْ قَيْسِ بْنِ أَبِيْ حَازِمٍ قَالَ دَخَلَ أَبُوْ بَكْرٍ عَلَى امْرَأَةٍ مِنْ أَحْمَسَ يُقَالُ لَهَا زَيْنَبُ فَرَآهَا لَا تَكَلَّمُ فَقَالَ مَا لَهَا لَا تَكَلَّمُ قَالُوْا حَجَّتْ مُصْمِتَةً قَالَ لَهَا تَكَلَّمِيْ فَإِنَّ هَذَا لَا يَحِلُّ هَذَا مِنْ عَمَلِ الْجَاهِلِيَّةِ فَتَكَلَّمَتْ فَقَالَتْ مَنْ أَنْتَ قَالَ امْرُؤٌ مِنْ الْمُهَاجِرِيْنَ قَالَتْ أَيُّ الْمُهَاجِرِيْنَ قَالَ مِنْ قُرَيْشٍ قَالَتْ مِنْ أَيِّ قُرَيْشٍ أَنْتَ قَالَ إِنَّكِ لَسَئُوْلٌ أَنَا أَبُوْ بَكْرٍ قَالَتْ مَا بَقَاؤُنَا عَلَى هَذَا الأَمْرِ الصَّالِحِ الَّذِيْ جَاءَ اللهُ بِهِ بَعْدَ الْجَاهِلِيَّةِ قَالَ بَقَاؤُكُمْ عَلَيْهِ مَا اسْتَقَامَتْ بِكُمْ أَئِمَّتُكُمْ قَالَتْ وَمَا الأَئِمَّةُ قَالَ أَمَا كَانَ لِقَوْمِكِ رُءُوْسٌ وَأَشْرَافٌ يَأْمُرُوْنَهُمْ فَيُطِيْعُوْنَهُمْ قَالَتْ بَلَى قَالَ فَهُمْ أُوْلَئِكِ عَلَى النَّاسِ
কাইস ইব্নু আবূ হাযিম (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, একদিন আবূ বকর (রাঃ) আহমাস গোত্রের যায়নাব নামের এক নারীর নিকট গেলেন। তিনি গিয়ে দেখতে পেলেন, নারীটি কথাবার্তা বলছে না। তিনি (লোকজনকে) জিজ্ঞেস করলেন, নারীটির এ অবস্থা কেন, কথাবার্তা বলছে না কেন? তারা তাঁকে জানালেন, এ নারী নীরব থেকে থেকে হাজ্জ পালন করে আসছেন। আবূ বকর (রাঃ) তাঁকে বললেন, কথা বল, কেননা এটা হালাল নয়। এটা জাহিলীয়্যাত যুগের কাজ। তখন নারীটি কথাবার্তা বলল। জিজ্ঞেস করল, আপনি কে? আবূ বকর (রাঃ) উত্তরে বললেন, আমি একজন মুহাজির লোক। মহিলাটি জিজ্ঞেস করল, আপনি কোন গোত্রের মুহাজির? আবূ বকর (রাঃ) বললেন, কুরাইশ গোত্রের। মহিলাটি জিজ্ঞেস করলেন, কোন কুরাইশের কোন শাখার আপনি? আবূ বকর (রাঃ) বললেন, তুমি তো অত্যধিক উত্তম প্রশ্নকারিণী। আমি আবূ বকর। তখন মহিলাটি তাঁকে জিজ্ঞেস করল, জাহিলীয়্যা যুগের পর যে উত্তম দ্বীন ও কল্যাণময় জীবন বিধান আল্লাহ আমাদেরকে দান করেছেন সে দ্বীনের উপর আমরা কতদিন সঠিকভাবে টিকে থাকতে পারব? আবূ বকর (রাঃ) বললেন, যতদিন তোমাদের ইমামগণ তোমাদেরকে নিয়ে দ্বীনের উপর অটল থাকবেন। মহিলা জিজ্ঞেস করল, ইমামগণ কারা? আবূ বকর (রাঃ) বললেন, তোমাদের গোত্রে ও সমাজে এমন সম্ভ্রান্ত ও নেতৃস্থানীয় লোক কি দেখনি যারা নির্দেশ দিলে সকলেই তা মেনে চলে? নারীটি উত্তর দিল, হাঁ। আবূ বকর (রাঃ) বললেন, এরাই হলেন জনগণের ইমাম।
(আধুনিক প্রকাশনীঃ ৩৫৪৯, ইসলামী ফাউন্ডেশনঃ ৩৫৫৪)
حَدَّثَنِيْ فَرْوَةُ بْنُ أَبِي الْمَغْرَاءِ أَخْبَرَنَا عَلِيُّ بْنُ مُسْهِرٍ عَنْ هِشَامٍ عَنْ أَبِيْهِ عَنْ عَائِشَةَ رَضِيَ اللهُ عَنْهَا قَالَتْ أَسْلَمَتْ امْرَأَةٌ سَوْدَاءُ لِبَعْضِ الْعَرَبِ وَكَانَ لَهَا حِفْشٌ فِي الْمَسْجِدِ قَالَتْ فَكَانَتْ تَأْتِيْنَا فَتَحَدَّثُ عِنْدَنَا فَإِذَا فَرَغَتْ مِنْ حَدِيْثِهَا قَالَتْ وَيَوْمُ الْوِشَاحِ مِنْ تَعَاجِيْبِ رَبِّنَا أَلَا إِنَّهُ مِنْ بَلْدَةِ الْكُفْرِ أَنْجَانِيْ فَلَمَّا أَكْثَرَتْ قَالَتْ لَهَا عَائِشَةُ وَمَا يَوْمُ الْوِشَاحِ قَالَتْ خَرَجَتْ جُوَيْرِيَةٌ لِبَعْضِ أَهْلِيْ وَعَلَيْهَا وِشَاحٌ مِنْ أَدَمٍ فَسَقَطَ مِنْهَا فَانْحَطَّتْ عَلَيْهِ الْحُدَيَّا وَهِيَ تَحْسِبُهُ لَحْمًا فَأَخَذَتْهُ فَاتَّهَمُونِيْ بِهِ فَعَذَّبُوْنِيْ حَتَّى بَلَغَ مِنْ أَمْرِيْ أَنَّهُمْ طَلَبُوْا فِيْ قُبُلِيْ فَبَيْنَاهُمْ حَوْلِيْ وَأَنَا فِيْ كَرْبِيْ إِذْ أَقْبَلَتْ الْحُدَيَّا حَتَّى وَازَتْ بِرُءُوْسِنَا ثُمَّ أَلْقَتْهُ فَأَخَذُوْهُ فَقُلْتُ لَهُمْ هَذَا الَّذِيْ اتَّهَمْتُمُونِيْ بِهِ وَأَنَا مِنْهُ بَرِيئَةٌ
আয়িশা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আরবের কোন এক গোত্রের এক (মুক্তিপ্রাপ্ত) কৃষ্ণকায় মহিলা ইসলাম গ্রহণ করেন। মসজিদের পাশে ছিল তার একটি ছোট ঘর। ‘আয়িশা (রাঃ) বলেন, সে আমদের নিকট আসত এবং আমাদের সাথে কথাবার্তা বলত। যখন তার বাক্যালাপ শেষ হত তখন প্রায়ই বলতো, ইয়াওমূল বিশাহ (মণিমুক্তা খচিত হারের দিন) আমাদের রবের পক্ষ হতে আশ্চর্যজনক ঘটনাবলীর একটি দিন জেনে রাখুন! আমার রব আমাকে কুফর এর দেশ হতে মুক্তি দিয়েছেন। সে এ কথাটি প্রায়ই বলত। একদিন ‘আয়িশা (রাঃ) ঐ মহিলাকে জিজ্ঞেস করলেন, ‘ইয়াওমূল বিশাহ’ কী? তখন সে বলল যে, আমার মুনিবের পরিবারের এক শিশু কন্যা ঘর হতে বের হল। তার গলায় চামড়ার (উপর মনিমুক্তা খচিত) একটি হার ছিল। হারটি (ছিড়ে) গলা হতে পড়ে গেল। তখন একটি চিল ওটা গোশ্তের টুকরা মনে করে ছোঁ মেরে নিয়ে গেল। তারা আমাকে হার চুরির সন্দেহে শাস্তি ও নির্যাতন করতে লাগল। অবশেষে তারা আমার লজ্জাস্থানে তল্লাশী চালাল। যখন তারা আমার চারপাশে ছিল এবং আমি চরম দুঃখে ছিলাম এমন সময় একটি চিল কোত্থেকে উড়ে আসল এবং আমাদের মাথার উপরে এসে হারটি ফেলে দিল। তারা হারটি তুলে নিল। তখন আমি বললাম, এটা হল সেই হার যেটা চুরির জন্য আমার উপর অপবাদ দিয়েছ, অথচ এ ব্যাপারে আমি সম্পূর্ণ নির্দোষ।
(আধুনিক প্রকাশনীঃ ৩৫৫০, ইসলামী ফাউন্ডেশনঃ ৩৫৫৫)
حَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ حَدَّثَنَا إِسْمَاعِيْلُ بْنُ جَعْفَرٍ عَنْ عَبْدِ اللهِ بْنِ دِيْنَارٍ عَنْ ابْنِ عُمَرَ رَضِيَ اللهُ عَنْهُمَا عَنْ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ أَلَا مَنْ كَانَ حَالِفًا فَلَا يَحْلِفْ إِلَّا بِاللهِ فَكَانَتْ قُرَيْشٌ تَحْلِفُ بِآبَائِهَا فَقَالَ لَا تَحْلِفُوْا بِآبَائِكُمْ
ইব্নু ‘উমর (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
ইব্নু ‘উমর (রাঃ) সূত্রে নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, সাবধান! যদি তোমাদের কসম করতে হয় তাহলে আল্লাহ্ ছাড়া অন্য কারো নামে কসম করো না। লোকজন তাদের বাপ-দাদার নামে কসম করত। তিনি বললেন, সাবধান! বাপ-দাদার নামে কসম করো না।
(আধুনিক প্রকাশনীঃ ৩৫৫১, ইসলামী ফাউন্ডেশনঃ ৩৫৫৬)
حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ سُلَيْمَانَ قَالَ حَدَّثَنِيْ ابْنُ وَهْبٍ قَالَ أَخْبَرَنِيْ عَمْرٌو أَنَّ عَبْدَ الرَّحْمَنِ بْنَ الْقَاسِمِ حَدَّثَهُ أَنَّ الْقَاسِمَ كَانَ يَمْشِيْ بَيْنَ يَدَيْ الْجَنَازَةِ وَلَا يَقُومُ لَهَا وَيُخْبِرُ عَنْ عَائِشَةَ قَالَتْ كَانَ أَهْلُ الْجَاهِلِيَّةِ يَقُومُوْنَ لَهَا يَقُوْلُوْنَ إِذَا رَأَوْهَا كُنْتِ فِيْ أَهْلِكِ مَا أَنْتِ مَرَّتَيْنِ
‘আমর (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
যে, ‘আবদুর রাহমান ইব্নু কাসিম (রাঃ) তার কাছে বলেছেন যে, কাসিম জানাযা বহন করার সময় আগে আগে চলতেন। জানাযা দেখলে তিনি দাঁড়াতেন না [১] এবং তিনি বর্ণনা করেছেন যে, ‘আয়িশা (রাঃ) বলতেন, জাহিলী যুগে মুশরিকগণ জানাযা দেখলে দাঁড়াত এবং মৃত ব্যক্তির রূহকে লক্ষ্য করে বলত, তুমি তোমার আপন জনদের সাথেই আছ যেমন তোমার জীবদ্দশায় ছিলে। এ কথাটি তার দু’বার বলত।
(আধুনিক প্রকাশনীঃ ৩৫৫২, ইসলামী ফাউন্ডেশনঃ ৩৫৫৭)
حَدَّثَنِيْ عَمْرُوْ بْنُ عَبَّاسٍ حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّحْمَنِ حَدَّثَنَا سُفْيَانُ عَنْ أَبِيْ إِسْحَاقَ عَنْ عَمْرِو بْنِ مَيْمُونٍ قَالَ قَالَ عُمَرُ إِنَّ الْمُشْرِكِيْنَ كَانُوْا لَا يُفِيْضُوْنَ مِنْ جَمْعٍ حَتَّى تَشْرُقَ الشَّمْسُ عَلَى ثَبِيْرٍ فَخَالَفَهُمْ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم فَأَفَاضَ قَبْلَ أَنْ تَطْلُعَ الشَّمْسُ
আমর ইব্নু মায়মূন (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, ‘উমার ইব্নুল খাত্তাব (রাঃ) বলেন, মুশরিকগণ সাবীর পাহাড়ের উপর সূর্যের কিরণ না পড়া পর্যন্ত মুয্দালাফা হতে রওয়ানা হত না। নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) সূর্য উঠার আগে রাওয়ানা হয়ে তাদের প্রথার খেলাফ করেন।
(আধুনিক প্রকাশনীঃ ৩৫৫৩, ইসলামী ফাউন্ডেশনঃ ৩৫৫৮)
حَدَّثَنِيْ إِسْحَاقُ بْنُ إِبْرَاهِيْمَ قَالَ قُلْتُ لِأَبِيْ أُسَامَةَ حَدَّثَكُمْ يَحْيَى بْنُ الْمُهَلَّبِ حَدَّثَنَا حُصَيْنٌ عَنْ عِكْرِمَةَ وَكَأْسًا دِهَاقًا قَالَ مَلأَى مُتَتَابِعَةً قَالَ وَقَالَ ابْنُ عَبَّاسٍ سَمِعْتُ أَبِيْ يَقُوْلُ فِي الْجَاهِلِيَّةِ اسْقِنَا كَأْسًا دِهَاقًا (النبا : 34)
ইকরিমাহ (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ
ইকরিমাহ (রহঃ) বলেন, আল্লাহর বাণীঃ كَأْسًا دِهَاقًا (আন-নাবাঃ ৩৪) এর তাফসীর প্রসঙ্গে বলেন, একের পর এক শরাবে পূর্ণ পেয়ালা। (আধুনিক প্রকাশনীঃ ৩৫৫৪ প্রথমাংশ, ইসলামী ফাউন্ডেশনঃ ৩৫৫৯ প্রথমাংশ)
(আধুনিক প্রকাশনীঃ ৩৫৫৪ প্রথমাংশ, ইসলামী ফাউন্ডেশনঃ ৩৫৫৯ প্রথমাংশ)
حَدَّثَنِيْ إِسْحَاقُ بْنُ إِبْرَاهِيْمَ قَالَ قُلْتُ لِأَبِيْ أُسَامَةَ حَدَّثَكُمْ يَحْيَى بْنُ الْمُهَلَّبِ حَدَّثَنَا حُصَيْنٌ عَنْ عِكْرِمَةَ وَكَأْسًا دِهَاقًا قَالَ مَلأَى مُتَتَابِعَةً قَالَ وَقَالَ ابْنُ عَبَّاسٍ سَمِعْتُ أَبِيْ يَقُوْلُ فِي الْجَاهِلِيَّةِ اسْقِنَا كَأْسًا دِهَاقًا
ইব্নু ‘আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
ইব্নু ‘আব্বাস (রাঃ) বলেন, আমার পিতা ‘আব্বাস (রাঃ) - কে ইসলামের পূর্ব যুগে বলতে শুনেছি, আমাদেরকে পাত্র ভর্তি শরাব একের পর এক পান করাও।
(আধুনিক প্রকাশনীঃ ৩৫৫৪, ইসলামী ফাউন্ডেশনঃ ৩৫৫৯ শেষাংশ)
حَدَّثَنَا أَبُوْ نُعَيْمٍ حَدَّثَنَا سُفْيَانُ عَنْ عَبْدِ الْمَلِكِ عَنْ أَبِيْ سَلَمَةَ عَنْ أَبِيْ هُرَيْرَةَ قَالَ قَالَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم أَصْدَقُ كَلِمَةٍ قَالَهَا الشَّاعِرُ كَلِمَةُ لَبِيْدٍ أَلَا كُلُّ شَيْءٍ مَا خَلَا اللهَ بَاطِلٌ وَكَادَ أُمَيَّةُ بْنُ أَبِي الصَّلْتِ أَنْ يُسْلِمَ
আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন, সবচেয়ে সঠিক বাক্য যা কোন কবি বলেছেন তা হল লাবীদ এর এ পংক্তিটি - সাবধান, আল্লাহ্ ছাড়া সব জিনিসই বাতিল ও অসার। এবং কবি উমাইয়্যা ইব্নু আবূ সাল্ত ইসলাম গ্রহণের কাছাকাছি পৌঁছে গিয়েছিল।
(আধুনিক প্রকাশনীঃ ৩৫৫৫, ইসলামী ফাউন্ডেশনঃ ৩৫৬০)
حَدَّثَنَا إِسْمَاعِيْلُ حَدَّثَنِيْ أَخِيْ عَنْ سُلَيْمَانَ بْنِ بِلَالٍ عَنْ يَحْيَى بْنِ سَعِيْدٍ عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ الْقَاسِمِ عَنْ الْقَاسِمِ بْنِ مُحَمَّدٍ عَنْ عَائِشَةَ رَضِيَ اللهُ عَنْهَا قَالَتْ كَانَ لِأَبِيْ بَكْرٍ غُلَامٌ يُخْرِجُ لَهُ الْخَرَاجَ وَكَانَ أَبُوْ بَكْرٍ يَأْكُلُ مِنْ خَرَاجِهِ فَجَاءَ يَوْمًا بِشَيْءٍ فَأَكَلَ مِنْهُ أَبُوْ بَكْرٍ فَقَالَ لَهُ الْغُلَامُ أَتَدْرِيْ مَا هَذَا فَقَالَ أَبُوْ بَكْرٍ وَمَا هُوَ قَالَ كُنْتُ تَكَهَّنْتُ لِإِنْسَانٍ فِي الْجَاهِلِيَّةِ وَمَا أُحْسِنُ الْكِهَانَةَ إِلَّا أَنِّيْ خَدَعْتُهُ فَلَقِيَنِيْ فَأَعْطَانِيْ بِذَلِكَ فَهَذَا الَّذِيْ أَكَلْتَ مِنْهُ فَأَدْخَلَ أَبُوْ بَكْرٍ يَدَهُ فَقَاءَ كُلَّ شَيْءٍ فِيْ بَطْنِهِ
আয়িশা (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আবূ বকর (রাঃ) - এর একজন ক্রীতদাস ছিল। সে প্রতিদিন তার উপর ধার্য কর আদায় করত। আর আবূ বকর (রাঃ) তার দেওয়া কর হতে আহার করতেন। একদিন সে কিছু খাবার জিনিস এনে দিল। তা হতে তিনি আহার করলেন। তারপর গোলাম বলল, আপনি জানেন কি ওটা কিভাবে উপার্জিত করা হয়েছে যা আপনি খেয়েছেন? তিনি বললেন, বলত কিভাবে? গোলাম উত্তরে বলল, আমি জাহিলী যুগে এক ব্যক্তির ভবিষ্যৎ গণনা করে দিয়েছিলাম। কিন্তু ভবিষ্যৎ গণনা আমার ভালভাবে জানা ছিল না। তথাপি প্রতারণা করে তা করেছিলাম। আমার সাথে তার দেখা হলে গণনার বিনিময়ে এ দ্রব্যাদি সে আমাকে হাদীয়া দিল যা হতে আপনি আহার করলেন। আবূ বকর (রাঃ) এটা শুনামাত্র মুখের ভিতর হাত ঢুকিয়ে দিলেন এবং পেটের ভিতর যা কিছু ছিল সবই বমি করে দিলেন।
(আধুনিক প্রকাশনীঃ ৩৫৫৬, ইসলামী ফাউন্ডেশনঃ ৩৫৬১)
حَدَّثَنَا مُسَدَّدٌ حَدَّثَنَا يَحْيَى عَنْ عُبَيْدِ اللهِ أَخْبَرَنِيْ نَافِعٌ عَنْ ابْنِ عُمَرَ رَضِيَ اللهُ عَنْهُمَا قَالَ كَانَ أَهْلُ الْجَاهِلِيَّةِ يَتَبَايَعُوْنَ لُحُومَ الْجَزُوْرِ إِلَى حَبَلِ الْحَبَلَةِ قَالَ وَحَبَلُ الْحَبَلَةِ أَنْ تُنْتَجَ النَّاقَةُ مَا فِيْ بَطْنِهَا ثُمَّ تَحْمِلَ الَّتِيْ نُتِجَتْ فَنَهَاهُمْ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم عَنْ ذَلِكَ
ইব্নু ‘উমর (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, ইসলামের পূর্ব যুগে মানুষ ‘হাবালুল হাবালা’ রুপে উটের গোশ্ত ক্রয়-বিক্রয় করত। রাবী বলেন, হাবালুল হাবালার অর্থ হল - তারা উট কেনা বেচা করত এই শর্তে যে, কোন নিদিষ্ট গর্ভবতী উটনী বাচ্চা প্রসব করলে পর ঐ প্রসব করা বাচ্চা যখন গর্ভবতী হবে তখন উটের দাম পরিশোধ করা হবে। নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তাদেরকে এরুপ কেনা বেচা করতে নিষেধ করে দিলেন।
(আধুনিক প্রকাশনীঃ ৩৫৫৭, ইসলামী ফাউন্ডেশনঃ ৩৫৬২)
حَدَّثَنَا أَبُو النُّعْمَانِ حَدَّثَنَا مَهْدِيٌّ قَالَ غَيْلَانُ بْنُ جَرِيْرٍ كُنَّا نَأْتِيْ أَنَسَ بْنَ مَالِكٍ فَيُحَدِّثُنَا عَنْ الأَنْصَارِ وَكَانَ يَقُوْلُ لِيْ فَعَلَ قَوْمُكَ كَذَا وَكَذَا يَوْمَ كَذَا وَكَذَا وَفَعَلَ قَوْمُكَ كَذَا وَكَذَا يَوْمَ كَذَا وَكَذَا
গায়লান ইব্নু জারীর (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ
আমরা আনাস ইব্নু মালিক (রাঃ) - এর কাছে গেলে তিনি আমাদের কাছে আনসারদের ঘটনা বর্ণনা করতেন। রাবী বলেন, আমাকে লক্ষ্য করে তিনি বলতেন, তোমার জাতি অমুক অমুক দিন অমুক অমুক কাজ করেছে, অমুক অমুক দিন অমুক অমুক কাজ করেছে।
(আধুনিক প্রকাশনীঃ ৩৫৫৮, ইসলামী ফাউন্ডেশনঃ ৩৫৬৩)