حَدَّثَنَا عَبْدُ اللهِ بْنُ يُوْسُفَ قَالَ سَمِعْتُ مَالِكًا يُحَدِّثُ عَنْ أَبِي النَّضْرِ مَوْلَى عُمَرَ بْنِ عُبَيْدِ اللهِ عَنْ عَامِرِ بْنِ سَعْدِ بْنِ أَبِيْ وَقَّاصٍ عَنْ أَبِيْهِ قَالَ مَا سَمِعْتُ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم يَقُوْلُ لِأَحَدٍ يَمْشِيْ عَلَى الأَرْضِ إِنَّهُ مِنْ أَهْلِ الْجَنَّةِ إِلَّا لِعَبْدِ اللهِ بْنِ سَلَامٍ قَالَ وَفِيْهِ نَزَلَتْ هَذِهِ الْآيَةُ وَشَهِدَ شَاهِدٌ مِنْ بَنِيْ إِسْرَائِيْلَ عَلَى مِثْلِهِ الْآيَةَ قَالَ لَا أَدْرِيْ قَالَ مَالِكٌ الْآيَةَ أَوْ فِي الْحَدِيْثِ
সা‘দ ইব্নু আবূ ওয়াক্কাস (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আমি নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) - কে আবদুল্লাহ ইব্নু সালাম (রাঃ) ছাড়া যমীনে বিচরণশীল কারো ব্যাপারে এ কথাটি বলতে শুনিনি যে, “নিশ্চয়ই তিনি জান্নাতবাসী’। সা‘দ (রাঃ) বলেন, তাঁরই ব্যাপারে সুরাহ আহকাফের এ আয়াত নাযিল হয়েছেঃ “এ ব্যাপারে বনী ইসরাঈলের মধ্য থেকেও একজন সাক্ষ্য দান করেছে। (উক্ত হাদীসের শুরুতে উল্লেখিত সানাদে ইমাম বুখারীর উস্তাজ) ‘আবদুল্লাহ বিন ইউসুফ (সন্দেহ পোষণ করে) বলেন যে, বর্ণনাকারী মালিক উল্লেখিত আয়াতটি নিজের তরফ হতে এখানে বৃদ্ধি করে বলেছেন নাকি এ হাদীসের সানাদের সাথেই সম্পৃক্ত তা জানি না।
(আধুনিক প্রকাশনীঃ ৩৫৩০, ইসলামী ফাউন্ডেশনঃ ৩৫৩৭)
حَدَّثَنِيْ عَبْدُ اللهِ بْنُ مُحَمَّدٍ حَدَّثَنَا أَزْهَرُ السَّمَّانُ عَنْ ابْنِ عَوْنٍ عَنْ مُحَمَّدٍ عَنْ قَيْسِ بْنِ عُبَادٍ قَالَ كُنْتُ جَالِسًا فِيْ مَسْجِدِ الْمَدِيْنَةِ فَدَخَلَ رَجُلٌ عَلَى وَجْهِهِ أَثَرُ الْخُشُوعِ فَقَالُوْا هَذَا رَجُلٌ مِنْ أَهْلِ الْجَنَّةِ فَصَلَّى رَكْعَتَيْنِ تَجَوَّزَ فِيْهِمَا ثُمَّ خَرَجَ وَتَبِعْتُهُ فَقُلْتُ إِنَّكَ حِيْنَ دَخَلْتَ الْمَسْجِدَ قَالُوْا هَذَا رَجُلٌ مِنْ أَهْلِ الْجَنَّةِ قَالَ وَاللهِ مَا يَنْبَغِيْ لِأَحَدٍ أَنْ يَقُوْلَ مَا لَا يَعْلَمُ وَسَأُحَدِّثُكَ لِمَ ذَاكَ رَأَيْتُ رُؤْيَا عَلَى عَهْدِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم فَقَصَصْتُهَا عَلَيْهِ وَرَأَيْتُ كَأَنِّيْ فِيْ رَوْضَةٍ ذَكَرَ مِنْ سَعَتِهَا وَخُضْرَتِهَا وَسْطَهَا عَمُوْدٌ مِنْ حَدِيْدٍ أَسْفَلُهُ فِي الأَرْضِ وَأَعْلَاهُ فِي السَّمَاءِ فِيْ أَعْلَاهُ عُرْوَةٌ فَقِيْلَ لِيْ ارْقَ قُلْتُ لَا أَسْتَطِيْعُ فَأَتَانِيْ مِنْصَفٌ فَرَفَعَ ثِيَابِيْ مِنْ خَلْفِيْ فَرَقِيْتُ حَتَّى كُنْتُ فِيْ أَعْلَاهَا فَأَخَذْتُ بِالْعُرْوَةِ فَقِيْلَ لَهُ اسْتَمْسِكْ فَاسْتَيْقَظْتُ وَإِنَّهَا لَفِيْ يَدِيْ فَقَصَصْتُهَا عَلَى النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ تِلْكَ الرَّوْضَةُ الْإِسْلَامُ وَذَلِكَ الْعَمُوْدُ عَمُوْدُ الْإِسْلَامِ وَتِلْكَ الْعُرْوَةُ عُرْوَةُ الْوُثْقَى فَأَنْتَ عَلَى الْإِسْلَامِ حَتَّى تَمُوْتَ وَذَاكَ الرَّجُلُ عَبْدُ اللهِ بْنُ سَلَامٍ و قَالَ لِيْ خَلِيْفَةُ حَدَّثَنَا مُعَاذٌ حَدَّثَنَا ابْنُ عَوْنٍ عَنْ مُحَمَّدٍ حَدَّثَنَا قَيْسُ بْنُ عُبَادٍ عَنْ ابْنِ سَلَامٍ قَالَ وَصِيْفٌ مَكَانَ مِنْصَفٌ
কায়স ইব্নু ‘উবাদ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, আমি মদীনার মসজিদে উপবিষ্ট ছিলাম। তখন এমন এক ব্যক্তি মসজিদে প্রবেশ করলেন যার চেহারায় বিনয় ও নম্রতার ছাপ ছিল। লোকজন বলতে লাগলেন, এই ব্যক্তি জান্নাতীগণের একজন। তিনি হালকাভাবে দু’রাকআত সলাত আদায় করে মসজিদ হতে বেরিয়ে এলেন। আমি তাঁকে অনুসরণ করলাম এবং তাঁকে বললাম, আপনি যখন মসজিদে প্রবেশ করছিলেন তখন লোকজন বলাবলি করছিল যে, ইনি জান্নাতবাসীগণের একজন। তিনি বললেন, আল্লাহ্র কসম কারো জন্য এমন বলা উচিত নয়, যা সে জানে না। আমি তোমাকে আসল কথা বলছি কেন তা বলা হয়। আমি নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) - এর যামানায় একটি স্বপ্ন দেখে তাঁর নিকট বর্ণনা করলাম। আমি দেখলাম যে, আমি যেন একটি বাগানে অবস্থান করছি; বাগানটি বেশ প্রশস্ত, সবুজ। বাগানের মধ্যে একটি লোহার স্তম্ভ যার নিম্নভাগ মাটিতে এবং উপরিভাগ আকাশ স্পর্শ করেছে; স্তম্ভের উপরে একটি শক্ত কড়া সংযুক্ত রয়েছে। আমাকে বলা হল, উপরে উঠ। আমি বললাম, এটাতো আমার সামর্থ্যের বাইরে। তখন একজন খাদিম এসে পিছন দিক হতে আমার কাপড় সহ চেপে ধরে আমাকে উঠাতে সাহায্য করলেন। আমি উঠতে লাগলাম এবং উপরে গিয়ে আংটাটি ধরলাম। তখন আমাকে বলা হল, শক্তভাবে আংটাটি ধর। তারপর কড়াটি আমার হাতের মুঠায় ধরা অবস্থায় আমি জেগে গেলাম। নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) - এর নিকট স্বপ্নটি বললে, তিনি বললেন, এ বাগান হল ইসলাম, আর স্তম্ভটি হল ইসলামের খুঁটিসমূহ, কড়াটি হল “উরুয়াতুল উস্কা” (শক্ত ও অটুট কড়া) এবং তুমি আজীবন ইসলামের উপর অটল থাকবে। (রাবী বলেন) এই ব্যক্তি হলেন, আবদুল্লাহ্ ইবনে সালাম (রাঃ)। খলীফা (র.) مَنْصِفٌ–এর স্থলে وَصِيْفٌ বলেছেন।
(আধুনিক প্রকাশনীঃ ৩৫৩১, ইসলামী ফাউন্ডেশনঃ ৩৫৩৮)
حَدَّثَنَا سُلَيْمَانُ بْنُ حَرْبٍ حَدَّثَنَا شُعْبَةُ عَنْ سَعِيْدِ بْنِ أَبِيْ بُرْدَةَ عَنْ أَبِيْهِ أَتَيْتُ الْمَدِيْنَةَ فَلَقِيْتُ عَبْدَ اللهِ بْنَ سَلَامٍ فَقَالَ أَلَا تَجِيءُ فَأُطْعِمَكَ سَوِيْقًا وَتَمْرًا وَتَدْخُلَ فِيْ بَيْتٍ ثُمَّ قَالَ إِنَّكَ بِأَرْضٍ الرِّبَا بِهَا فَاشٍ إِذَا كَانَ لَكَ عَلَى رَجُلٍ حَقٌّ فَأَهْدَى إِلَيْكَ حِمْلَ تِبْنٍ أَوْ حِمْلَ شَعِيْرٍ أَوْ حِمْلَ قَتٍّ فَلَا تَأْخُذْهُ فَإِنَّهُ رِبًا وَلَمْ يَذْكُرِ النَّضْرُ وَأَبُوْ دَاوُدَ وَوَهْبٌ عَنْ شُعْبَةَ الْبَيْتَ
আবূ বুরদাহ (রহঃ) থেকে বর্ণিতঃ
আবূ বুরদাহ (রহঃ) বলেন, আমি মদীনায় গেলাম; আবদুল্লাহ ইব্নু সালামের সাথে আমার দেখা হল। তিনি আমাকে বললেন, তুমি আমাদের এখানে আসবে না? তোমাকে আমি খেজুর ও ছাতু খেতে দিব এবং একটি ঘরে থাকতে দেব। অতঃপর তিনি বললেন, তুমি এমন স্থানে (ইরাকে) বসবাস কর, যেখানে সুদের কারবার খুব ব্যাপক। যখন কোন মানুষের নিকট তোমার কোন প্রাপ্য থাকে আর সেই মানুষটি যদি তোমাকে কিছু ঘাস, খড় অথবা খড়ের ন্যায় সামান্য কিছুও হাদীয়া পেশ করে তার কাছ থেকে তা গ্রহন কর না, যেহেতু তা সুদের অন্তর্ভুক্ত। নায্র (রাঃ), আবূ দাউদ (রহঃ) ও ওয়াহাব (রহঃ) শু‘বাহ্ (রহঃ) হতে بَيْتُ শব্দটি বর্ণনা করেন নি।
(আধুনিক প্রকাশনীঃ ৩৫৩২, ইসলামী ফাউন্ডেশনঃ ৩৫৩৯)