حَدَّثَنِيْ مُحَمَّدُ بْنُ بَشَّارٍ حَدَّثَنَا غُنْدَرٌ حَدَّثَنَا شُعْبَةُ عَنْ أَبِيْ إِسْحَاقَ قَالَ سَمِعْتُ الْبَرَاءَ يَقُوْلُ أُهْدِيَتْ لِلنَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم حُلَّةُ حَرِيْرٍ فَجَعَلَ أَصْحَابُهُ يَمَسُّوْنَهَا وَيَعْجَبُوْنَ مِنْ لِيْنِهَا فَقَالَ أَتَعْجَبُوْنَ مِنْ لِيْنِ هَذِهِ لَمَنَادِيْلُ سَعْدِ بْنِ مُعَاذٍ خَيْرٌ مِنْهَا أَوْ أَلْيَنُ رَوَاهُ قَتَادَةُ وَالزُّهْرِيُّ سَمِعَا أَنَسًا عَنْ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم
বারা’ (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
তিনি বলেন, নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) - কে এক জোড়া রেশমী কাপড় হাদীয়া দেয়া হল। সহাবায়ে কেরাম (রাঃ) তা স্পর্শ করে এর কোমলতায় অবাক হয়ে গেলেন। নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেন, এর কোমলতায় তোমরা অবাক হচ্ছ? অথচ সা’দ ইব্নু মু’আয (রাঃ)- এর (জান্নাতের) রুমাল এর চেয়ে অনেক উত্তম, অথবা বলেছেন অনেক মোলায়েম। হাদীসটি ক্বাতাদাহ্ ও যুহরী (রহঃ) আনাস (রাঃ) সূত্রে নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) হতে বর্ণনা করেছেন।
(আধুনিক প্রকাশনীঃ ৩৫২০, ইসলামী ফাউন্ডেশনঃ ৩৫২৭)
জাবির (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
জাবির (রাঃ) বলেন, আমি নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) - কে বলতে শুনেছি সা’দ ইব্নু মু’আয (রাঃ) - এর মৃত্যুতে আল্লাহ্ তা’আলার আরশ কেঁপে উঠেছিল। আমাশ (রহঃ)......নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) হতে এ রকমই বর্ণিত হয়েছে, এক ব্যক্তি জাবির (রাঃ) - কে বলল, বারা ইব্নু আযিব (রাঃ) তো বলেন, জানাযার খাট নড়েছিল। তদুত্তরে জাবির (রাঃ) বললেন, সা’দ ও বারা (রাঃ) - এর গোত্রদ্বয়ের মধ্যে কিছুটা বিরোধ ছিল, কেননা আমি নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) - কে “আল্লাহ্র আর্শ সা’দ ইব্নু মু’আযের (ওফাতে) কেঁপে উঠল” (কথাটি) বলতে শুনেছি।
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ عَرْعَرَةَ حَدَّثَنَا شُعْبَةُ عَنْ سَعْدِ بْنِ إِبْرَاهِيْمَ عَنْ أَبِيْ أُمَامَةَ بْنِ سَهْلِ بْنِ حُنَيْفٍ عَنْ أَبِيْ سَعِيْدٍ الْخُدْرِيِّ أَنَّ أُنَاسًا نَزَلُوْا عَلَى حُكْمِ سَعْدِ بْنِ مُعَاذٍ فَأَرْسَلَ إِلَيْهِ فَجَاءَ عَلَى حِمَارٍ فَلَمَّا بَلَغَ قَرِيْبًا مِنْ الْمَسْجِدِ قَالَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم قُومُوْا إِلَى خَيْرِكُمْ أَوْ سَيِّدِكُمْ فَقَالَ يَا سَعْدُ إِنَّ هَؤُلَاءِ نَزَلُوْا عَلَى حُكْمِكَ قَالَ فَإِنِّيْ أَحْكُمُ فِيْهِمْ أَنْ تُقْتَلَ مُقَاتِلَتُهُمْ وَتُسْبَى ذَرَارِيُّهُمْ قَالَ حَكَمْتَ بِحُكْمِ اللهِ أَوْ بِحُكْمِ الْمَلِكِ
আবূ সা’ঈদ খুদরী (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ
কতিপয় লোক (বনী কুরায়যার ইয়াহূদীগণ) সা’দ ইব্নু মু’আয (রাঃ) - কে সালিশ মেনে (দুর্গ থেকে) নেমে আসে। তাঁকে নিয়ে আসার জন্য লোক পাঠানো হল। তিনি গাধায় সাওয়ার হয়ে আসলেন। যখন মসজিদের নিকটে আসলেন, তখন নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেন, তোমাদের শ্রেষ্ঠতম ব্যক্তি অথবা (বললেন) তোমাদের সরদার আসছেন তাঁর দিকে দাঁড়াও। তারপর তিনি বললেন, হে সা’দ! তারা তোমাকে সালিশ মেনে বেরিয়ে এসেছে। সা’দ (রাঃ) বললেন, আমি তাদের সম্পর্কে এ ফয়সালা দিচ্ছি যে, তাদের যোদ্ধাদেরকে হত্যা করা হোক এবং শিশু ও মহিলাদেরকে বন্দী করে রাখা হোক। নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেন, তুমি আল্লাহ্ তা’আলার ফায়সালা মোতাবেক ফায়সালা দিয়েছ অথবা (বলেছিলেন) তুমি বাদশাহ্র অর্থাৎ আল্লাহ্র ফায়সালা অনুযায়ী ফায়সালা করেছ।
(আধুনিক প্রকাশনীঃ ৩৫২২, ইসলামী ফাউন্ডেশনঃ ৩৫২৯)